মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৫ম স্থান অধিকার করেছি। এ সাফল্যের পিছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন হাফিজ আল মামুন ভাইয়া। এইচএসসির পরই আমি ভর্তি হয়ে যাই গোল ডিগার্সে।ভাইয়ার মেডিকেল স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নে নেওয়া ডেইলি এক্সাম গুলো আমার প্রস্তুতিতে অনেক সহায়ক ছিল।সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়ার আন্তরিকতা যা অন্য কোনো কোচিং বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাইনি। মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতির দিন গুলো থেকে শুরু করে রেজাল্টের দিন পর্যন্ত ভাইয়া আমার পড়াশুনার খোজ খবর নিয়েছেন, মেন্টাল সাপোর্ট দিয়েছেন।ভর্তি পরীক্ষার পর থেকে রেজাল্টের আগ পর্যন্ত অনেক উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলাম।ভাইয়া বার বার আমাকে সান্তনা দিচ্ছিলেন যে "তোমার DMC তেই হবে"। অনুজদের উদ্দেশ্যে বলবো যে মেডিকেল স্বপ্ন হলে নির্দ্বিধায় মেডিলজির প্রতি আস্থা রাখতে পারো।হাফিজ ভাইয়া তোমাকে চান্স পাওয়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করবেন।তাই মেডিলজির প্রতি আস্থা রেখে নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রমটা করো। ইনশাল্লাহ সফল হবেই। - ....See More

ফেসবুক স্ক্রল করার সময় একদিন মেডিলজি চ্যাম্প এক্সামের এনাউন্সমেন্ট দেখলাম; নির্ধারিত দিনে এক্সাম দিলাম; এক্সামে র‍্যাংক ভালো আসায় গোল ডিগার্স 2.2 তে ফ্রি এক্সেস পেয়ে গেলাম। আমার মেইন টার্গেট ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল নিয়ে শুরুতে এতটা সিরিয়াস ছিলাম না। আর যেহেতু আমি অলরেডি গোল ডিগার্স এ এক্সেস পেয়ে গিয়েছিলাম, তাই এডমিশন টাইমে আর কোনো মেডিকেল কোচিং এ ভর্তি হইনি। কোর্স ডিটেইলস পড়ে বুঝলাম যে এ কোর্সে রুটিন মাফিক ক্লাস ও এক্সাম হবে ; আর এটাই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু কোর্সে যে আমি এত এত সার্ভিস পাব সেটা কোর্স কমপ্লিট করার আগে চিন্তাও করতে পারিনি। রেগুলার ক্লাস আর এক্সামের পাশাপাশি কোর্সে অন্তর্ভুক্ত ছিল - ফ্রি প্র‍্যাক্টিস বুক, দাগানো বইয়ের পিডিএফ, GKE এর জন্য আলাদা ক্লাস আর এক্সামের ব্যাবস্থা , অনুশীলনীর mcq বুঝে সলভ করার জন্য আলাদা ক্লাস, মেডিকেলে টপ করা ভাইয়া আপুদের নিয়ে গঠিত প্রবলেম সলভিং গ্রুপ, মেডিকেল এক্সামের আগে হোম প্র‍্যাক্টিসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নসেট - পরিপূর্ণ প্রস্তুতির জন্য যা more than enough. কোর্সের ক্লাসগুলো হাফিজ ভাইয়া নিজে নিতেন, মেইনবইয়ের উপর জোর দিতেন আর গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ফোকাস করে পড়াতেন। ডেইলি আর উইকলি এক্সামের প্রশ্নগুলো স্ট্যান্ডার্ড ছিল। বেশিরভাগ এক্সামেই আমার পজিশন আশানুরূপ হতো না কিন্তু আমি সবসময় চেষ্টা করতাম ভাইয়ার দিকনির্দেশনা মোতাবেক পড়া গুছিয়ে রাখার। প্রবলেম সলভিং গ্রুপটা আমাকে দারুণভাবে হেল্প করেছে; আমার প্রতিটি সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান আমি সেখানে পেয়েছি। এডমিশন টাইমের পুরোটা সময় নিজের মনোবল ধরে রাখাটা কঠিন ; দুশ্চিন্তা বা হতাশা থেকে যখনই ভাইয়াকে নক দিয়েছি ভাইয়া সবসময় সাহস দিয়েছেন। গোল ডিগার্সে থাকা অনেকেই সফল হয়েছে আবার কেউ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে কেউ এ অভিযোগ করতে পারবে না যে - হাফিজ ভাইয়ার চেষ্টায় কোনো কমতি ছিল। আমার সফলতায় অবদান রাখার জন্য মেডিলজির প্রতি কৃতজ্ঞতা। ছোট ভাইয়া / আপুদের বলবো বড় বড় কোচিং আর অনলাইনে পড়া হয়না নামক মিথ থেকে বেড়িয়ে এসে মেডিলজির প্রতি আস্থা রাখতে পারো। মেডিলজি তোমাদের স্বপ্নপূরণের পথ সুগম করুক এই প্রত্যাশায়- - ....See More

আলহামদুলিল্লাহ, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমি ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ১৮৭তম স্থান অধিকার করেছি।এজন্য আমি প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহর নিকট।তারপর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার পিতামাতার প্রতি যারা সবসময় আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস দিয়েছে। এডমিশন সময়ের শেষের দিকে যখন হতশার কারণে আমি আম্মুকে বলতাম,"কি যে হবে আমার।"তখন বিপরীত পাশ থেকে আম্মু বলতো,"আর একটু ধৈর্য্য ধরো,সফলতা আসবে তোমার ইনশাআল্লাহ। "আর আমার বাবা,যিনি ১০মার্চ পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় পর্যন্ত আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিল," নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে এসো,আমারা তোমার পাশেই আছি।" আমার এ সাফল্যের অন্যতম ভাগীদার হলো আমার শিক্ষকগণ যারা আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে মজবুত ও সাবলীল করে তুলেছে। তবে এ সাফল্যের বড় কারিগর হলো হাফিজ ভাইয়া।আমি শুরু থেকে মেডিলজির বিভিন্ন ফ্রী ক্লাস করতাম।তারপর গোল ডিগার্স ২.২ এ ভর্তি হই।এডমিশনের সময় অফলাইনে আমি অনেক বড় বড় কোচিং সেন্টারের সাথে যুক্ত থাকলেও হাফিজ ভাইয়ার ক্লাস আমি নিয়মিত করতাম।ভাইয়ার ক্লাস ও পরীক্ষা আমি নিয়মিত দিতাম যা আমার প্রতিদিনের পড়া সম্পূর্ণ করতে অনেক সাহায্য করতো।আর কখনো কিছু ভুল করলে তা আলাদা খাতায় লিখে রাখতাম যাতে পরবর্তীতে তা আর ভুল না হয়।হাফিজ ভাইয়ার জৈব যৌগের ক্লাস করার মাধ্যমে জৈব যৌগের প্রতি ভয় সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে আমার।ভাইয়ার ডেডিকেশন ছিলো সত্যিই অসাধারণ। আমার দেখা অনলাইনের সবচেয়ে ভালো প্লাটফর্ম হলো মেডিলজি।অনুজদের বলবো,মেডিলজির ক্লাস, পরীক্ষা ও দিক নির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চললে তোমাদের স্বপ্নের ক্যাম্পাসে তোমার পদচারণ শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার । পরিশ্রম করো,সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। - ....See More

আসসালামুআলাইকুম । আমি তাসনিয়া তাবাসসুম হিয়া। ২০২২-২৩ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৩৬ তম স্থান অধিকার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।আমার স্কুল ছিল বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ ছিল মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ।আমি প্রথমেই মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি এত বড় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এরপর আমি আমার পিতা-মাতা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের দোয়া ও সাহায্য-সহযোগিতা আমাকে এতদূর এগিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে । ছোট থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল, আমি একজন ভালো ডাক্তার হবো। এজন্য ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার থেকেই HSC পড়ার পাশাপাশি মেডিকেল অ্যাডমিশনের জন্য preparation নেওয়া শুরু করি। তখন থেকেই ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি এই তিনটা সাবজেক্ট ভালোভাবে পড়ার চেষ্টা করেছি যাতে আমার অ্যাডমিশন ও HSC দুইটার জন্যই পড়া complete হয়ে যায়। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের শুরু থেকে আমি অল্প অল্প করে gk ও english পড়া শুরু করি। আমার কিছু বন্ধুরা ২১ ব্যাচের সাথে অ্যাডভান্স অ্যাডমিশন কোচিং করে অনেক এগিয়ে গিয়েছিল । তাই আমি প্রি-মেডিকেল অ্যাডমিশন কোচিং করার সিদ্ধান্ত নেই। আমি অনলাইনে প্রি-মেডিকেল কোচিং করতে চাইছিলাম, কিন্তু তেমন কোনো অনলাইন প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতাম না। একদিন হঠাৎ ফেসবুক স্ক্রল করার সময় মেডিলজি চ্যাম্প নামক একটা exam এর কথা জানতে পারি। exam এর প্রাইজ লোভনীয় থাকায় একটা ভালো প্রিপারেশন নিয়ে exam দিতে বসি।exam এ আমি ২৯তম স্থান অধিকার করি । Top ৩০ এর মধ্যে থাকায় আমি medilogy এর goal diggers 2.1 ব্যাচে discount এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। যেহেতু আমি pre-medical কোচিং করার জন্য আগে থেকেই একটা অনলাইন প্লাটফর্ম খুঁজছিলাম, তাই আমি goal diggers 2.1 এ pre-medical কোচিং করি। এক্ষেত্রে যাঁর কথা না বললেই নয় তিনি হলেন আমাদের হাফিজ আল মামুন ভাইয়া। ভাইয়ার প্রতিটা ক্লাস খুব মনোযোগ সহকারে করতাম। ক্লাসেই ৮০% পড়া complete হয়ে যেতো। পাশাপাশি gk ও english এর ক্লাস ও করতাম। ক্লাসেই ভাইয়া মেইন writer এর বই পড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য writer এর বইয়ের extra info বলে দিতেন। goal diggers 2.1 এ প্রি-মেডিকেল করার মাধ্যমে মেডিকেল অ্যাডমিশন প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি এক ধাপ এগিয়ে যাই। HSC পরীক্ষার পর আমি goal diggers 2.2 তে অ্যাডমিট হই। হাফিজ ভাইয়ার ক্লাস, মেডিলজি প্র্যাকটিস বুক, নিশাত তাসনিম আপুর অনুশীলনীর mcq এর ক্লাস, সমিরন স্যারের ইংলিশ ক্লাস সবকিছু আমার অ্যাডমিশন journey আরও সহজ করে তুলেছে । আমি goal diggers 2.2 তে নিয়মিত exam দিতাম, আর আমার average marks 90% রাখার চেষ্টা করতাম। অফলাইনে আমি রেটিনায় admit ছিলাম। goal diggers 2.2 ও retina এর অবদান সবচেয়ে বেশি আমার এই সাফল্যের পিছনে। হাফিজ ভাইয়া মাঝেমধ্যে লাইভে এসে আমাদের সবাইকে পড়ালেখা করতে motivate করতেন ।ভাইয়া short syllabus এর বাইরের chapter গুলো অনেক ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এতে আমার যে gap রয়ে গিয়েছিল তা পূরণ হয়ে যায়। Loss project ব্যাচে আমরা goal diggers এর স্টুডেন্টরা ফ্রিতে entry পাই।এখানে হাজার হাজার স্টুডেন্টদের সাথে competition করে যখন ভালো রেজাল্ট করতাম তখন নিজের মধ্যে একটা confidence তৈরি হয়েছিল যে আমিও চাইলে DMC পাবো। আমার লক্ষ্য কখনোই কোনো একটা সরকারি মেডিকেলে চান্স পেতে হবে এমন ছিল না, আমি সবসময়ই DMC তে পড়ার স্বপ্ন দেখতাম। এভাবে খুব ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে 10 March মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেই। প্রশ্নের প্যাটার্ন আগের বছরগুলোর তুলনায় আলাদা ছিল, question standard হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম হয়তো DMC পারো। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আমাকে DMC তে পড়ার তৌফিক দান করেছেন। আমি সবার নিকট দোয়াপ্রার্থী, ভবিষ্যতে আমি যেনো একজন মানবিক ডাক্তার হতে পারি। আমার এই অ্যাডমিশন journey তে medilogy আমার পাশে থাকায় আমি medilogy এর প্রতি চির কৃতজ্ঞ । আমি medilogy এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। ধন্যবাদ। - ....See More